কম্পিউটারের সংঙ্গা ও উহার ব্যবহার বিধি
ভূমিকাঃ কম্পিউটার এমন একটি প্রযুক্তি যা মানুষের দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে অনেক বেশী। একে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে কাজের গতি বেড়ে যাবে আরো অনেক বেশী। কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার না জানলে এর থেকে কার্য উদ্ধার করা সহজ নয়। সেজন্য জানতে হবে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান। আজ আমরা আলোচনা করবো কম্পিউটারের বেসিক নিয়ে, তো চলুন শুরু করা যাক।
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার হচ্ছে একটি যন্ত্রের নাম। যার অর্থ হচ্ছে গণনা করা। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগসহ আরো নানা ধরনের হিসাব নিকাশ নিমিষেই করা যায়। শুধু কি তাই! গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং সহ আরো নানামূখী কাজ এর দ্বারা করা সম্ভব।
কম্পিউটিারের প্রধান অংশগুলো কি? কি?
একটি কম্পিউটার অনেকগুলো পার্টস নিয়ে গঠিত, তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রধান প্রধান অংশ নিয়ে আলোচনা করছি। যেমন,
- মনিটর
- সিপিইউ
- মাদারবোর্ড
- কিবোর্ড
- হার্ডডিস্ক
- র্যাম Ram
১। মনিটরঃ মনিটর হচ্ছে একটি টিভি ডিভাইসের মত, যেখানে ছবি দেখা যায়। কম্পিউটারে যে কোন কাজ করলে তা মনিটরে ভেসে উঠে, তা দেখে দেখে খুব সহজেই যে কোন কাজ দ্রুত করে ফেলা যায়।
২। সিপিইউঃ সিপিইউ হচ্ছে কম্পিটারের প্রধান একটি অংশ। মূলত এই সিপিইউ হচ্ছে কম্পিটারের মাথা। সিপিইউ ব্যবহারকারীর সমস্ত কমান্ড অনুযায়ী তার সাথে থাকা যন্ত্রাংশগুলোকে পরিচালনা করে। সমস্ত যন্ত্রাংশ একটি ক্যাসিংয়ের ভিতরে সাজানো থাকে।
৩। মাদারবোর্ডঃ মাদারবোর্ড হচ্ছে কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। মাদারবোর্ড ছাড়া একটি কম্পিউটার কখনোই তৈরি হতে পারে না। সিপিইউ, র্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড, হার্ডডিক্স ইত্যাদি এই মাদারবোর্ড এর সাথেই বিল্ট-ইন করা থাকে। এই মাদারবোর্ড হচ্ছে কম্পিউটারের মূল হাডওয়্যার।
৪। কিবোর্ডঃ কিবোর্ড ছাড়া কম্পিউটার অচল! কারণ এই কিবোর্ডের সাহায্যেই কম্পিউটারকে নানা ধরনের কমান্ড দিতে হয় আর এই কমান্ড অনুসরণ করেই কম্পিউটার কাজ করা শুরু করে দেয়। তাছাড়া কম্পিউটারে যতপ্রকার টাইপিং এর কাজ তা কিন্তু এই কিবোর্ড দিয়েই করতে হয়।
৫। হার্ডডিস্কঃ মোবাইলের ভিতরে যেমন ইন্টারনাল মেমোরি থাকে ঠিক তেমনি কম্পিউটারের মেমরি হচ্ছে, হার্ডডিস্ক। হার্ডডিস্ক বা মেমোরি ছাড়াও কম্পিউটার অচল! কারণ কম্পিউটার চলে উইনডোজ সিস্টেমে আর উইনডোজ ইনস্টল করতে হলে অবশ্যই হার্ডডিস্ক থাকতে হবে। তাছাড়াও সমস্ত ফাইল সেভ করার জন্যও হার্ডডিস্ক প্রয়োজন।
৬। Ram- র্যামঃ Ram হচ্ছে একটি অস্হায়ী মেমোরি। এই মেমোরিতে কোন কিছু জমে থাকে না। কম্পিউটার বা মোবাইল বন্ধ করা হলে এর মধ্যে জমে থাকা সকল ডাটা রিফ্রেশ হয়ে যায়। আপনার কম্পিউটারে যখনই কোন সফটওয়্যার চালু করতে যান তখনই সেটা প্রথমে Ram এর অস্হায়ী মেমোরিতে চালু হয়। সেইজন্য কম্পিউটারে Ram বেশী থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। Ram কম থাকার কারণে কম্পিউটার স্লো কাজ করে বা হ্যাংক করে।
কম্পিউটারের ব্যবহার বিধি
কম্পিউটারের রয়েছে নানামুখী ব্যবহার, নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবহার বিধি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
- শিক্ষা ক্ষেত্রে
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে
- কৃষি ক্ষেত্রে
- ব্যাংকিং ক্ষেত্রে
- খেলাধুলা
- বিনোদন
- হিসাব-নিকাশ
- চাকরি-বাকরী
- অফিস-আদালত
- কল-কারখানা
- আবহাওয়া দপ্তর
- গবেষণা
- লেখালেখি
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
স্কুল কলেজ ম্যানেজমেন্ট
ইত্যাদি বহুবিধ কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এক কথায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কম্পিউটার ছাড়া যেন দুনিয়াটাই অচল!
উপসংহারঃ পরিশেষে এ কথা বলা যায় যে, কম্পিউটারের ব্যবহার কোথায় নেই! সকল ক্ষেত্র আজ কম্পিউটারের দখলে। তাইতো আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে কম্পিউটার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা একান্ত জরুরী। আজ থেকে কম্পিউটার শিক্ষার কাজে ব্যয় হোক আপনার কিছুটা সময়!